নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ক্রেতাদের ক্রয়সীমার বাহিরে
খবরের সময় ডেস্ক:
বুধবার থেকে সারাদেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়েছে। এদিন বাংলা নববর্ষ ও পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন। এমন সময় নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিকে ‘বাজারে আগুন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন অনেকে।
করোনায় অনিশ্চয়তায় থাকা মানুষেরা বলছেন,লকডাউনের কারণে শপিংমল, মার্কেট বন্ধ রয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, মুভমেন্ট পাস নিয়ে বাজারে যেতে হচ্ছে। এই সময়ে কাঁচাজারেও বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে।
ডয়চে ভেলে জানায়, লকডাউনের কারণে অনেকে সপ্তাহের বাজার একসাথে করায় বাজারে ভিড় দেখা গেছে। রোজায়ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ৬টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। অনেকে বলেন, সরকারের নির্ধারিত দামে পণ্য মিলছে না। টিসিবির ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির কথা বলা হলেও সময় মতো ট্রাক না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।হাতিরপুল কাঁচা বাজারে পণ্য কিনতে যাওয়া শেখ সোহেল জানান, বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। ৩০ টাকার লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। অন্যান্য পণ্যের দামও বেড়েছে অনেক।সরকারের বেঁধে দেয়া দামে পণ্য কিনতে না পেরে ক্রেতারা বলছেন, ওই দামে কোথাও পণ্য পাওয়া যায় না। এতে রমজানে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপদে। লকডাউনের বাকি দিনগুলোতে বাজারের পরিস্থিতি কেমন হয়, তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দোকানিদের দাবি, একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে রমজান। এতে পাইকারি বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। বিধিনিষেধের কারণে পণ্য সরবরাহও কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে।